যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক এখন মরণ ফাঁদ।
জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি:
বৃষ্টি হলেই সাতক্ষীরার কলারোয়ার পৌরসদরের প্রধান মহাসড়কের বেহাল দশায় নাস্তানাবুদ হচ্ছেন পথচারীরা। উপজেলা সদরের বুকচিড়ে যাওয়া যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কটির কয়েকটি স্থানে পিচ-পাথর-খোয়া উঠে রীতিমত গর্তে রূপ নিয়েছে। সেখানে কাদাপানি আর ছোটছোট পাথরকুচিতে চলাচলে সীমাহীন সমস্যার মুখে পড়ছেন পথচারীরা। মহাসড়ক যেন মহাবিপদে রূপ নিয়েছে।
পানির নিচে গর্ত দেখা না যাওয়ায় ভোগান্তি আর দুর্ভোগে পতিত হচ্ছেন ভুক্তভোগিরা। চলমান বৃষ্টি শুরুর অনেক আগেই রাস্তার ওই সকল স্থান অনুপযোগী হয়ে পড়লেও সংশ্লিষ্টরা কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় জনদুর্ভোগ আরো বেড়েছে। মহাসড়কের পাশাপাশি পৌর সদরের বিভিন্ন সড়কেরও একই রকম অবস্থা দেখা যাচ্ছে। উপজেলা সদরের কলারোয়া সরকারী কলেজ বাসস্ট্যান্ড, জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুল মোড়, রুচিরা বেকারির সামনে, আহলে হাদিস জামে মসজিদ এর সামনে থানার সামনে, হোমিও প্যাথিক ডাক্তার আনিছুর রহমানের বিল্ডিং এর সামনে ও যুগিবাড়ি এলাকা হতে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের কাজিরহাট পর্যন্ত এ অবস্থা।
পৌরসভাধীন মহেন্দ্র স্ট্যান্ড থেকে শুরু করে হাসপাতাল রোডের বেশ কয়েকটি স্থান, পাকা ব্রিজ থেকে মির্জাপুর ও বেত্রবতী হাইস্কুল মোড় এলাকা পর্যন্ত রাস্তার করুণ দশায় নাজেহাল এলাকাবাসী ও পথচারী। রাস্তাগুলোর বহু স্থানে গর্ত ও খানাখন্দে পরিণত হয়ে ঘটছে দূর্ঘটনাও। সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তা ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কটিতে নাম মাত্র টুকরা টুকরা কয়েকবার টেন্ডার দিয়ে বাকী অংশ নিজেই তার দপ্তরের লোক দিয়ে ভাংগা গর্থে পট্টি মারা শুরু করে।
যা ২০২০ সাল পর্যন্ত চলে আসছে। বর্তমানে পট্টিমারা রাস্তায় সাধারণ সাইকেল চালও চলাচলে ভয়পাচ্ছেন। এমনকি জনসাধারণ ওই রাস্তা দিয়ে পা হেটে যেতেও ভয়পাচ্ছেন। বাস কিম্বা ট্রাক আসলেই গাড়ির চাকা খাদে পড়ে সাধারণ মানুষের গায়ে কাদা পানি লেগে কাপড় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ পট্টি মারলে লাখ টাকার বিল পাচ্ছেন। তাই রাস্তা সংস্কারে টেন্ডার না করেই এভাবে নিজের দপ্তর দিয়ে পট্টি মারার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে একদিকে সরকারী টাকা তছরুপ হচ্ছে। আরেক দিকে সরকারী কর্মকর্তাদের পকেট ভারি হচ্ছে। এর আগে কলারোয়ায় সড়ক ও জনপদের আওতাধীন কলারোয়া টু সরসকাটি রাস্তা সংস্কারে (কার্পেটিং) ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।
যা আজ ওই রাস্তা খানা খন্দে ভরে গেছে। এলাকার জনসাধারণ ও পথচারীদের প্রশ্ন-আর কবে হবে এই রাস্তার সংস্কার ? কবে ভোগান্তি থেকে পাবে মুক্তি ? তারা অবিলম্বে রাস্তা সংষ্কার করে জনভোগান্তি থেকে রেহাই দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন। একই সাথে সড়ক ও জনপথের সাতক্ষীরার প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।